বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দিয়ে আওয়ামী সরকার এখন বাংলাদেশকে আগ্নেয়গিরির ওপর দাঁড় করিয়েছে। যে কোনো সময় অগ্নিবিস্ফোরণে ক্ষমতার মসনদ জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, তারা ভেবেছিল খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দিলে বিএনপি কঠোর আন্দোলনে যাবে এবং আওয়ামী লীগ বোমা মেরে জ্বালাও-পোড়াও-সহিংসতা চালিয়ে বিএনপির উপর এর দায় চাপাবে। আওয়ামী লীগের ভাবনাটা ভুল ছিল। শুক্রবার বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট মিলনায়তনে যুব জাগপা আয়োজিত ‘বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে’ আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খন্দকার মাহবুব বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে আওয়ামী লীগ এখন ডুবে গেছে। সরকারকে ভাবতে হবে বিএনপি আর তাদের পাতানো ফাঁদে পা দেবে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন ধৈর্য ধরে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোয় তার জনপ্রিয়তা বহুগুণ বেড়েছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে খালেদা জিয়ার রায়ের সার্টিফাইড কপি এখনো পাওয়া যায়নি। এটা জাতি ও আদালতের জন্য খুবই লজ্জাজনক। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে বিদেশি যে অনুদান দিয়েছে তা বর্তমানে ছয়গুণ বেড়েছে। শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাজনৈতিকভাবে দেশনেত্রীকে ঘায়েল করার জন্য জালিয়াতির মামলায় সাজা দিয়ে একটি নির্জন নোংরা সেলে রাখা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দেয়ার দাবি করছি। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জাগপা সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে সরকার দেশ ও জাতিকে বিভক্ত করতে চায়। কিন্তু দেশপ্রেমিক জনগণ খালেদা জিয়ার প্রয়োজনে রাজপথে থেকে দেশ, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় আবারো খালেদা জিয়াকে এদেশের প্রধানমন্ত্রী করবে- ইনশাআল্লাহ।
যুব জাগপার সহ-সভাপতি মাহিদুর রহমান বাবলার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক তুহিনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, সহ-সভাপতি খন্দকার আবিদুর রহমান, মাস্টার এম.এ মান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, জাগপা নেতা বেলায়েত হোসেন মোড়ল, ইনসান আলম আক্কাছ, মানিক সরকার, এনায়েত আহমেদ হালিম, আশরাফুল ইসলাম হাসু, আসাদুজ্জামান বাবুল, যুব জাগপা নেতা রিয়াজ রহমান, নজরুল ইসলাম বাবলু, শাহিনুর রহমান শাহিন, প্রকৌশলী সিরাজ, বিপুল সরকার, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আলী, ছাত্রনেতা আব্দুর রহমান ফারুকী, আমির হোসেন আমু প্রমুখ।